বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্র্ড বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ, বিউবো, লক্ষ্মীপুর। গ্রাহক সেবা নির্দেশিকা বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হোন অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি করাই আমাদের লক্ষ্য
গ্রাহক সেবা কেন্দ্র বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তরের ‘‘গ্রাহক সেবা কেন্দ্র’’ এ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ, বিদ্যুৎ বিভ্রাট/ বিল/মিটার সংক্রান্ত অভিযোগ, বিল পরিশোধের ব্যবস্থাসহ সকল ধরনের অভিযোগ জানানো যাবে এবং এতদ্ সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে। |
||||||||||||||||||||||||||||||
নতুন সংযোগ গ্রহন · ‘‘গ্রাহক সেবা কেন্দ্র’’ থেকে নতুন সংযোগের আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। · আবেদনপত্রটি যথাযথভাবে পূরণ করে নির্ধারিত আবেদন ফি নির্দিষ্ট ব্যাংক বুথ/ শাখা অথবা ‘‘গ্রাহক সেবা কেন্দ্র’’/ দপ্তরে জমা প্রদান করে জমা রশিদ ও প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ ‘‘গ্রাহক সেবা কেন্দ্র’’- এ জমা করলে আপনাকে একটি নিবন্ধন নম্বরসহ পরবর্তী আগমনের তারিখ জানানো হবে। · পরবর্তী আগমনের তারিখ যোগাযোগ করলে আপনাকে ডিমান্ড নোট ও প্রাক্কলন ইস্যু করা হবে। ‘‘গ্রাহক সেবা কেন্দ্র’’ সংলগ্ন ব্যাংক বুথ/ নির্ধারিত ব্যাংক শাখায়/ দপ্তরে ডিমান্ড নোটের উল্লিখিত টাকা জমা পূর্র্বক জমার রশিদ প্রদর্র্শণ করলে সংযোগ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিদ্যুৎ সংস্থা কর্তৃক সরবরাহকৃত (৩ ফেইজ) অথবা বিদ্যুৎ সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত ক্রয়কৃত মিটার গ্রাহক জমা দিলে মিটার ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে গ্রাহকের আঙ্গিনায় স্থাপন করা হবে। যদি সংযোগ প্রদান সম্ভবপর না হয় তবে তার কারন জানিয়ে আপনাকে একটি পত্র দেওয়া হবে। · পরবর্তী মাসের বিলিং সাইকেল অনুযায়ী গ্রাহকের প্রথম মাসের বিল জারী করা হবে। · ‘‘গ্রাহক সেবা কেন্দ্র’’ থেকে নতুন সংযোগ গ্রহনের নিয়মাবলী ও এতদ্ সংকান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী সম্বলিত একটি পুস্তিকা প্রয়োজন বোধে নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে সংগ্রহ করা যাবে। বিল সংক্রান্ত অভিযোগ বিল সংক্রান্ত যে কোন অভিযোগ যেমনঃ চলতি মাসের বিল পাওয়া যায় নি, বকেয়া বিল, অতিরিক্ত বিল ইত্যাদির জন্য ‘‘গ্রাহক সেবা কেন্দ্র’’ এ যোগাযোগ করলে তাৎক্ষনিক সমাধান সম্ভব হলে তা নিষ্পত্তি করা হবে। অন্যথায় একটি নিবন্ধন নম্বর দিয়ে পরবর্তী যোগাযোগের সময় জানিয়ে দেয়া হবে এবং পরবর্তী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিল পরিশোধ · ‘‘গ্রাহক সেবা কেন্দ্র’’ সংলগ্ন ব্যাংক বুথ/নির্ধারিত ব্যাংক/দপ্তর- এ গ্রাহক বিল পরিশোধ করতে পারবেন। · প্রি-পেমেন্ট মিটারিং এর আওতাভূক্ত এলাকায় ভেন্ডিং সেন্টার এ গিয়ে Card/ Key No. সহ স্লিপ সংগ্রহের মাধ্যমে আগাম বিল পরিশোধে (Recharge) করা যাবে। · ইলেকট্রনিক বিল পে-এর আওতাভূক্ত এলাকায় Point of Sale (POS) এর মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা যাবে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ · বিদ্যুৎ সরবরাহ ইউনিটের নির্দিষ্ট ‘‘অভিযোগ কেন্দ্র’’ অথবা ‘‘গ্রাহক সেবা কেন্দ্র’’- এ আপনার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ জানানো হলে আপনাকে অভিযোগ নম্বর ও নিষ্পত্তির সম্ভাব্য সময় জানিয়ে দেয়া হবে। অভিযোগ নম্বরের ক্রমানুসারে আপনার বিদ্যুৎ বিভ্রাট দূরীভূত করার লক্ষ্যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যদি নির্ধারিত সময়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দূরীভূত করা সম্ভব না হয়, তার কারন গ্রাহককে অবহিত করা হবে। নতুন সংযোগের জন্য দালিলাদি নতুন সংযোগের জন্য আবেদনপত্রের সাথে নিম্নোক্ত দলিলাদি দাখিল করতে হবেঃ · সংযোগ গ্রহণকারীর পাসপোর্র্ট সাইজের ২ কপি সত্যায়িত ছবি। · জমির মালিকানা দলিলের সত্যায়িত কপি। · সিটি কর্পোরেশন/নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ/পৌরসভা/স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাড়ীর অনুমোদিত সত্যায়িত নক্সা এবং অথবা সিটি কর্পোরেশন/ পৌরসভা/ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নামজারীসহ হোল্ডিং নম্বর এর সত্যায়িত কপি ও দলিল অথবা দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর, জমির দলিল, কমিশনারের সার্টিফিকেট (যেখানে নক্সা অনুমোদন নাই)। · লোড চাহিদার পরিমাণ। · জমি/ভবনের ভাড়ার (যদি প্রযোজ্য হয়) দলিল। · ভাড়ার ক্ষেত্রে মালিকের সম্মতি পত্রের দলিল। · পূর্বের কোন সংযোগ থাকলে ঐ সংযোগের বিবরণ ও সর্র্বশেষ পরিশোধিত বিলের কপি। · অস্থায়ী সংযোগের ক্ষেত্রে বিবরণ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। · বৈধ লাইসেন্সধারী কর্তৃক প্রদত্ত ইন্সটলেশন টেষ্ট (ওয়্যারিং) সার্টিফিকেট। · ট্রেড লাইসেন্স (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। · সংযোগ স্থানের নির্দেশক নক্সা। · শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের নিমিত্ত যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন । · পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন। · সার্ভিস লাইনের দৈর্ঘ্য ১০০ ফুটের বেশী হবে না। · বহুতল/আবাসিক/বাণিজ্যিক ভবন নির্মাতা ও মালিকের সাথে ফ্ল্যাট মালিকের চুক্তি নামার সত্যায়িত কপি। ৫০ কিঃ ওঃ- এর উর্দ্ধে সংযোগের জন্য গ্রাহককে আরো যে দলিলাদি দাখিল করতে হবেঃ · সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা অথবা সংশ্লিষ্ট হাউজিং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত বাড়ীর নক্সায় (সত্যায়িত কপি) উপকেন্দ্রের লে-আউট প্ল্যান। · সিঙ্গেল লাইন ডায়াগ্রাম। · মিটারিং কক্ষ প্রদানের অঙ্গীকার নামা। · উপকেন্দ্রের স্থাপিত সব যন্ত্রপাতির স্পেসিফিকেশন ও টেষ্ট রেজাল্ট এবং বৈদ্যুতিক উপদেষ্টা ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্র্শকের দপ্তর থেকে প্রদত্ত উপকেন্দ্র সংক্রান্ত ছাড়পত্র। শিল্প-কারখানা ও ৬ তলার অধিক ভবনে সংযোগের জন্য গ্রাহককে আরো যে দলিলাদি দাখিল করতে হবে : · পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) · ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ছাড়পত্রের কপি নতুন সংযোগের জন্য আবেদন ফি · সিংগেল ফেইজ (২-তার) ২৩০ ভোল্ট সংযোগের জন্য ১৫.০০ টাকা · থ্রি ফেইজ (৪-তার) ৪০০ ভোল্ট সংযোগের জন্য ১৫.০০ টাকা · থ্রি ফেইজ (৩-তার) ১১০০০ ভোল্ট সংযোগের জন্য ২৫০.০০ টাকা · অস্থায়ী (২-তার) ২৩০/(৪-তার) ৪০০ ভোল্ট সংযোগের জন্য ২৫০.০০ টাকা নতুন সংযোগের জন্য জামানতের পরিমাণ · সিংগেল ফেইজ (২-তার ২৩০ ভোল্ট আবাসিক ও বাণিজ্যিক সংযোগের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোওয়াট লোডের জন্য ৩৭৫.০০ টাকা · থ্রি ফেইজ (৪-তার) ৪০০ ভোল্ট আবাসিক ও বাণিজ্যিক সংযোগের ক্ষেত্রে প্রতি কিঃওঃ লোডের জন্য ৫৫০.০০ টাকা · থ্রি ফেইজ (৪-তার) ৪০০ ভোল্ট সেচ, অনাবাসিক, ক্ষুদ্র শিল্প সংযোগের ক্ষেত্রে প্রতি কিঃওঃ লোডের জন্য ৬০০.০০ টাকা · থ্রি ফেইজ (৩-তার) ১১০০০ ভোল্ট সংযোগের ক্ষেত্রে প্রতি কিঃ ওঃ লোডের জন্য ৬০০.০০ টাকা অস্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বাণিজ্যিক কার্র্যক্রম এবং নির্মাণ কাজের নিমিত্ত স্বল্পকালীন সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ২৩০/৪০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য মূল্যহার শ্রেনী-ই এর জন্য প্রযোজ্য মূল্যহারকে ২ দ্বারা গুণ করতে হবে। ১১ কেভি ও ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য মূল্যহার সংশ্লিষ্ট শ্রেনীর জন্য প্রযোজ্য মূল্যহারকে ২ দ্বারা গুণ করতে হবে। ডিমান্ড চার্র্জ ও সার্ভিস চার্র্জ প্রযোজ্য শ্রেণীর দ্বিগুণ হবে। গ্রাহক সংযোগ চার্র্জ এবং অতিরিক্ত হিসাবে অস্থায়ী সংযোগের সময়ের জন্য দৈনিক ৬ (ছয়) ঘন্টা বিদ্যুৎ ব্যবহারের ভিত্তিতে প্রাক্কলিত বিল জমা দেয়া হবে। গ্রাহকের জমা অর্র্থ মাসিক বিদ্যৎ বিলের সাথে সমন্বয় করা হবে। যদি অস্থায়ী সংযোগ প্রদান করা সম্ভব না হয় তবে তার কারণ জানিয়ে গ্রাহককে একটি পত্র দেয়া হবে। লোড পরিবর্তন · নতুন পরিবর্র্তন ফি প্রদান করতে হবে। · চুক্তি পরিবর্র্তন ফি প্রদান করতে হবে। · লোড বৃদ্ধির জন্য প্রযোজ্য অনুযায়ী কিঃওঃ প্রতি বিদ্যমান হারে জামানত প্রদান করতে হবে। · অতিরিক্ত লোডের জন্য সার্ভিস তার/মিটার বদলানোর প্রয়োজন হলে উক্ত ব্যয় গ্রাহককে বহন করতে হবে। · প্রাক্কলন ও জামানতের অর্র্থ জমাদানের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে লোড বৃদ্ধি কার্র্যকর করা হবে। যদি লোড বৃদ্ধি করা সম্ভবপর না হয় তবে তার কারণ জানিয়ে গ্রাহককে একটি পত্র দেয়া হবে। গ্রাহকের নাম পরিবর্র্তন পদ্ধতি গ্রাহক ক্রয়সূত্রে/ওয়ারিশসূত্রে/লিজসূত্রে জায়গা বা প্রতিষ্ঠানের মালিক হলে সকল দলিলের সত্যায়িত ফটোকপি ও সর্র্বশেষ পরিশোধিত বিলের কপি সহ নির্ধারিত ফি ব্যাংকে জমা করে আবেদন করতে হবে। সরেজমিন তদন্ত করে নাম পরিবর্র্তনের জন্য বিদ্যমান হারে জামানত প্রদান করতে হবে। গ্রাহক জামানত বাবদ উক্ত বিল নির্র্ধারিত ব্যাংকের বুথ/শাখা/দপ্তরে পরিশোধ করে তার রশিদ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিলে ৭(সাত) দিনের মধ্যে নাম পরিবর্র্তন কার্র্যকর করা হবে। অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার, মিটারে হস্তক্ষেপ, বাইপাস, বিনা অনুমতিতে সংযোগ গ্রহন ইত্যাদি ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা বিদ্যুৎ আইনের [Electricity Act, 1910 & As Amended ‘The Electricity (Amendment) Act, 2006’’] ৩৯ ধারা অনুসারে এ ক্ষেত্রে ন্যুনতম ১ বছর হতে ৩ বছর পর্র্যন্ত জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। তাছাড়া, অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্যের ৩ গুন হারে (পেনাল হারে) বিল প্রদান করা হবে। এছাড়াও উক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের দ্বারা যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, মিটার, মিটারিং ইউনিট ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তবে ক্ষতিগ্রস্থ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, মিটার, মিটার ইউনিট ইত্যাদি পুনরায় সচল করা গেলে মেরামত খরচ অথবা সম্পূর্র্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত বা পুনরায় সচল করা যাবে না এরূপ সরঞ্জামের জন্য পুনঃস্থাপনের ব্যয়সহ প্রকৃত মূল্য আদায় করা হবে। শ্রেণীভিত্তিক বিদ্যমান বিদ্যুতের মূল্যহার (ফেব্রুয়ারী, ২০১১ হতে প্রযোজ্য)
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্র্ড স্বর্নিভর হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের কাম্য
|